বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং: যা অবশ্যই আপনার জানা প্রয়োজন !

Spread the love
বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং

বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং (বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়) সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর বৈধতা, ঝুঁকি এবং সুযোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকা অত্যন্ত জরুরি। আজকের এই পোষ্টে বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:

ফরেক্স ট্রেডিং কি বাংলাদেশে বৈধ ?

বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং বৈধ, তবে এর কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ডিলার (যেমন ব্যাংক এবং কিছু নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান) ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা সম্পূর্ণ অবৈধ। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন Foreign Exchange Regulation Act, 1947 অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়।

বাংলাদেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সরাসরি বিদেশি  কোন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ডিলারদের বা অনুমোদিত ব্রোকারদের মাধ্যমে ট্রেড করতে হয়। তবে অনেক বিদেশি ব্রোকার বাংলাদেশে তাদের পরিষেবা দিয়ে থাকে এবং সেক্ষেত্রে কোনো সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও, অবৈধ উপায়ে অর্থ লেনদেন বা পাচারের ঝুঁকি থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং লাইসেন্সবিহীন ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং নিয়ে বাংলাদেশের আইন কী বলে ?

  • বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ (Foreign Exchange Regulation Act, 1947): এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত “অথোরাইজড ডিলার” (যেমন ব্যাংক) এবং কিছু অনুমোদিত মানি চেঞ্জারদের মাধ্যমে বৈধ।
  • ব্যক্তিগত ফরেক্স ট্রেডিং: ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুরুপ করে বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিংয়ের সরাসরি কোনো বৈধতা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অননুমোদিত ফরেক্স ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এবং অনলাইন জুয়া/বেটিং-এর মাধ্যমে অর্থ পাচার এবং আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করে থাকে। তাদের মতে, এসব লেনদেন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯; এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ ।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে  ফরেক্স ট্রেডিংয়ের প্রভাব:

বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে অবৈধ অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশীরা কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং করেন ?

অনেক বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারদের প্ল্যাটফর্মে ট্রেড করেন। এই ব্রোকারগুলোর বাংলাদেশে কোনো স্থানীয় অফিস বা শাখা নেই এবং তারা আন্তর্জাতিকভাবে (যেমন CySEC, FCA, ASIC ইত্যাদি) নিয়ন্ত্রিত। ট্রেডাররা সাধারণত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে বা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে এই ব্রোকারগুলোতে অর্থ জমা দেন এবং উত্তোলন করেন। যেহেতু এই লেনদেনগুলো দেশের বাইরে ঘটে, তাই বাংলাদেশ সরকার সরাসরি এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

 বাংলাদেশে আইনত বৈধ ফরেক্স ব্রোকার:

যদি আপনি “বাংলাদেশে আইনত বৈধ ফরেক্স ব্রোকার” খুঁজেন, তাহলে সরাসরি এমন কোনো ব্রোকার খুঁজে পাওয়া মুশকিল যারা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যক্তিগত ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জন্য স্পষ্টভাবে অনুমোদিত। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু ব্যাংক বা নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমতি দেয়, কোনো অনলাইন ফরেক্স ব্রোকারকে নয়।

তবে, আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ব্রোকার যারা কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলে এবং অনেক দেশে বৈধভাবে পরিচালিত হয়, তাদেরকে অনেকে ‘বৈধ’ বলে মনে করেন। কারণ, তারা তাদের নিজস্ব আইন ও নিয়মকানুনের অধীনে (যেমন সাইপ্রাস, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি) নিয়ন্ত্রিত।

বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান পদক্ষেপ :

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ ফরেক্স ট্রেডিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

  • সচেতনতা বৃদ্ধি: বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মানুষকে এসব অবৈধ কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করা হয়।
  • আইন প্রয়োগ: যারা এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশে অনলাইন ফরেক্স ব্রোকারদের আইনি বৈধতা ও সতর্কীকরণ :

বাংলাদেশে অনেক বিদেশি অনলাইন ফরেক্স ব্রোকার  তাদের পরিষেবা প্রদান করে। এদের মধ্যে অনেকেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য এবং বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (যেমন FCA, CySEC, ASIC) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

  • বাংলাদেশে সরাসরি কোন বৈধতা নেই:  অনলাইন ফরেক্স ব্রোকারগুলি  আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ  হলেও বাংলাদেশে তাদের সরাসরি কোনো আইনি বৈধতা নেই। কারণ, তারা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ডিলার নয়।
  • ঝুঁকি এবং আইনি জটিলতা: বাংলাদেশ থেকে এসব অনলাইন ফরেক্স ব্রোকারের মাধ্যমে লেনদেন করলে নিম্নলিখিত ঝুঁকিগুলো থাকে:
    • অর্থ পাচার: অননুমোদিত উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন অর্থ পাচারের আওতায় আসতে পারে।
    • আইনি সুরক্ষার অভাব: কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি আইন অনুযায়ী কোনো সুরক্ষা পাওয়া কঠিন হতে পারে, কারণ এই ব্রোকাররা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার আওতাধীন নয়।
    • প্রতারণার ঝুঁকি: কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ফরেক্স ট্রেডিংয়ের নামে পিরামিড স্কিম বা Ponzi স্কিম চালিয়ে প্রতারণা করে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধরনের প্রতারণা সম্পর্কেও সতর্ক করে থাকে।

বাংলাদেশী হিসেবে ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জন্য আপনার করণীয় (যদি করেন) :

বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিং সরাসরি নিয়ন্ত্রিত নয়, তাই বাড়তি সতর্কতা এবং জ্ঞানের প্রয়োজন।সবকিছু ভালোভাবে জানার ও বোঝার পর  যদি আপনি ফরেক্স ট্রেডিংয়ে আগ্রহী হন, তাহলে নিচের  নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

১. আইনি দিক সম্পর্কে সচেতনতা :

বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইনি কাঠামো বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। এর অর্থ হলো, আইনি সুরক্ষার অভাব রয়েছে। যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে বাংলাদেশে আইনি প্রতিকার পাওয়া কঠিন হতে পারে। তাই এই ঝুঁকিটা বুঝেই আপনাকে এগোতে হবে।

২. বিশ্বস্ত ও নিয়ন্ত্রিত ব্রোকার নির্বাচন :

আপনি যদি ফরেক্স ট্রেডিংয়ে যুক্ত হতেই চান, তাহলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো একটি বিশ্বস্ত এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ব্রোকার নির্বাচন করা। কিছু স্বনামধন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলো:

  • FCA (Financial Conduct Authority) – যুক্তরাজ্য
  • CySEC (Cyprus Securities and Exchange Commission) – সাইপ্রাস
  • ASIC (Australian Securities and Investments Commission) – অস্ট্রেলিয়া
  • NFA (National Futures Association) –  যুক্তরাষ্ট্র

ব্রোকার নির্বাচনের সময় তাদের লাইসেন্সিং, গ্রাহক সেবা, লেনদেনের শর্তাবলী (স্প্রেড, কমিশন), জমা ও উত্তোলনের পদ্ধতি এবং রিভিউগুলো ভালোভাবে যাচাই করে নিন। লোভনীয় অফার ও অবিশ্বাস্য লাভের আশায় ভুয়া ব্রোকারদের থেকে সাবধান থাকুন ।

৩. পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষা :

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে সফল হতে হলে বাজার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। হুট করে বিনিয়োগ করে দিলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। এজন্য আপনার যা যা জানা উচিত:

  • ফরেক্সের মৌলিক বিষয়: ফরেক্স মার্কেট কীভাবে কাজ করে, মুদ্রা জোড়া, পিপস, লিভারেজ, মার্জিন ইত্যাদি সম্পর্কে  ভালো ধারনা নেওয়া।
  • প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ (Technical Analysis): চার্ট প্যাটার্ন, ইন্ডিকেটর, সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স লেভেল বোঝা ও আয়ত্ব করা ।
  • মৌলিক বিশ্লেষণ (Fundamental Analysis): অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার, বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির খবর এবং সেগুলো মুদ্রার মূল্যের উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা জানা।
  • ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management): আপনার বিনিয়োগকৃত মূলধনের কতটুকু আপনি হারাতে প্রস্তুত, তা নির্ধারণ করা। স্টপ-লস (Stop-Loss) এবং টেক-প্রফিট (Take-Profit) অর্ডার ব্যবহার করা শিখুন। কোনো একক ট্রেডে আপনার মোট মূলধনের  ২-৩%  এর বেশি ঝুঁকি না নেওয়ার চেষ্টা করুন।

অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ফরেক্স শিক্ষার উপকরণ পাওয়া যায়।

৪. ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন

আসল টাকা বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই বেশি বেশি করে ডেমো অ্যাকাউন্টে অনুশীলন করুন। এটি আপনাকে ভার্চুয়াল ফান্ড দিয়ে বাস্তব বাজারের পরিবেশে ট্রেড করার জন্য জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিং কৌশল পরীক্ষা করতে পারবেন এবং কোনো আর্থিক ঝুঁকি ছাড়াই বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা লাভ করবেন। পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস অর্জন না করা পর্যন্ত ডেমো ট্রেডিং চালিয়ে যান।

৫.অ্যাকাউন্ট খোলা: ব্রোকার নির্বাচন করা সম্পন্ন হলে নির্বাচিত ব্রোকারে একটি লাইভ ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন। এর জন্য সাধারণত পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হয়।

    ৬.অর্থ জমা: অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করুন। এক্ষেত্রে ব্রোকারের পেমেন্ট

পদ্ধতি দেখে নিন।

৭. ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন

আপনি যদি লাইভ ট্রেডিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে খুব ছোট অঙ্কের অর্থ দিয়ে শুরু করুন, যা হারিয়ে ফেললেও আপনার দৈনন্দিন জীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না। এতে আপনি মানসিক চাপ কমিয়ে ট্রেডিং শিখতে পারবেন।

৮. আবেগ নিয়ন্ত্রণ শৃঙ্খলাবদ্ধতা

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে সফল হতে হলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোভ বা ভয়ের কারণে এখানে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। একটি সুনির্দিষ্ট ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন এবং শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে তা অনুসরণ করুন। প্রতিটি ট্রেড রেকর্ড করে রাখুন এবং নিয়মিত আপনার পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করুন।

৯. প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকুন

বাংলাদেশে ফরেক্স ট্রেডিংয়ের নামে বিভিন্ন পিরামিড স্কিম বা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (MLM) স্কিম দেখা যেতে পারে, যেখানে উচ্চ রিটার্নের প্রলোভন দেখিয়ে আপনার অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে। এমন কোনো প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করবেন না যা খুব দ্রুত বা অবাস্তব লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়।

১০.ট্রেডিং শুরু: সবকিছু প্রস্তুত হলে আপনি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন।

উপসংহার:

যেহেতু ব্যক্তিগত ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জন্য বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনো “আইনত বৈধ” ব্রোকার নেই যা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত। বাংলাদেশে যারা ফরেক্স ট্রেডিং করেন, তারা সাধারণত আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ব্রোকারদের প্ল্যাটফর্মে ট্রেড করেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে অননুমোদিত অনলাইন ব্রোকারদের মাধ্যমে ট্রেডিং করা বেআইনি এবং এর ফলে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন আইনি জটিলতা ও আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ কোনো ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং একজন বাংলাদেশী হিসেবে  এই ধরনের ট্রেডিংয়ের সাথে জড়িত হওয়ার পূর্বে আইনি এবং আর্থিক ঝুঁকি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত জরুরি।প্রয়োজনে একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করা বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top