ফরেক্স (Forex) ট্রেডিংয়ের জগতে সফল হতে হলে শুধুমাত্র চার্ট বিশ্লেষণ এবং টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর (Technical Indicators) সম্পর্কে জানলেই হবে না। আপনাকে জানতে হবে দিনের ঠিক কোন কোন সময়ে ট্রেড করা সবচেয়ে লাভজনক। এর জন্য, ট্রেডিং সেশন (Trading Sessions) সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন ট্রেডিং সেশনে বাজারের গতিবিধি ভিন্ন ভিন্ন হয়, আর এই সেশনগুলোর গতিবিধি বুঝে ট্রেড করতে পারলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
কেন ফরেক্স ট্রেডিং সেশন গুরুত্বপূর্ণ ?
প্রতিটি ট্রেডিং সেশনে নির্দিষ্ট কারেন্সি পেয়ার বেশি সক্রিয় থাকে। আবার, ভলিউম এবং ভোলাটিলিটিও প্রতিটি সেশনে আলাদা হয়ে থাকে। যারা ট্রেডিং টাইম ম্যানেজমেন্ট বুঝে ট্রেড করেন, তারা অনেক সময় অল্প সময়ে ভালো প্রফিট করতে পারেন।
যেহেতু প্রতিটি ট্রেডিং সেশনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, যেমন ভলাটিলিটি (volatility) এবং লিকুইডিটি (liquidity) থাকে, সেহেতু সেশনের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং কৌশল তৈরি করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ । দিনকে চারটি প্রধান ট্রেডিং সেশনে ভাগ করা হয় :
(১)সিডনি সেশন বা প্যাসিফিক সেশন ।
(২) টোকিও সেশন বা এশিয়ান সেশন ।
(৩) লন্ডন সেশন বা ইউরোপীয় সেশন ।
(৪) নিউ ইয়র্ক সেশন বা উত্তর আমেরিকার সেশন ।
প্রতিটি সেশন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কাজের সময়ে সক্রিয় থাকে।

ইউন্টার সেশন ও সামার সেশন :
বছরে দুইভাবে ফরেক্স মার্কেটের সময় ১ ঘণ্টার একটা পার্থক্য তৈরি হয়ে থাকে, যেমন জানুয়ারি থেকে জুন হল ইউন্টার সেশন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর হল সামার সেশন। সামার সেশন এর সময় থেকে ইউন্টার সেশন সময় এক ঘন্টা আগে মার্কেট ওপেন/ক্লোজ হয়ে থাকে।
শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ফরেক্স সেশনের তুলনামূলক টেবিল
শীতকালীন সময় | ||
সেশন | শীতকালীন (BD সময়) | শীতকালীন (GMT) |
সিডনি | ০৪:০০ AM – ০১:০০ PM | ১০:০০ PM – ০৭:০০ AM |
টোকিও | ০৬:০০ AM – ০৩:০০ PM | ১২:০০ AM – ০৯:০০ AM |
লন্ডন | ০২:০০ PM – ১১:০০ PM | ০৮:০০ AM – ০৫:০০ PM |
নিউ ইয়র্ক | ০৭:০০ PM – ০৪:০০ AM | ০১:০০ PM – ১০:০০ PM |
গ্রীষ্মকালীন সময় | ||
সেশন | গ্রীষ্মকালীন (BD সময়) | গ্রীষ্মকালীন (GMT) |
সিডনি | ০৪:০০ AM – ০১:০০ PM | ১০:০০ PM – ০৭:০০ AM |
টোকিও | ০৬:০০ AM – ০৩:০০ PM | ১২:০০ AM – ০৯:০০ AM |
লন্ডন | ০১:০০ PM – ১০:০০ PM | ০৭:০০ AM – ০৪:০০ PM |
নিউ ইয়র্ক | ০৬:০০ PM – ০৩:০০ AM | ১২:০০ PM – ০৯:০০ PM |
৪টি প্রধান ফরেক্স ট্রেডিং সেশনের প্রধান মার্কেট ও বৈশিষ্ট্য:
সেশন | প্রধান মার্কেট | বৈশিষ্ট্য |
সিডনি | AUD, NZD | শান্ত, কম ভোলাটিল, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার নিউজে প্রতিক্রিয়া |
টোকিও | JPY, SGD | এশিয়ান(জাপান) নিউজে প্রতিক্রিয়া |
লন্ডন | GBP, EUR | সর্বোচ্চ ভলিউম, ট্রেন্ড শুরু, ইউরোপের নিউজে প্রতিক্রিয়া |
নিউইয়র্ক | USD, CAD | বড় মুভমেন্ট, নিউজ ট্রেডিং, আমেরিকা ও কানাডার নিউজে প্রতিক্রিয়া |
প্রতিটি সেশনের সময় এবং তার প্রভাব নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. সিডনি সেশন (Sydney Session):
এটি দিনের প্রথম সেশন। প্যাসিফিক সেশন শুরু হয় ওয়েলিংটন (নিউজিল্যান্ড) এবং সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) এর অর্থনৈতিক বাজার শুরুর মাধ্যমে । অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এই সেশনকে প্রভাবিত করে। এই সময়ে USD/JPY এবং AUD/USD কারেন্সি পেয়ারগুলোতে বেশি মুভমেন্ট দেখা যায়।
- সময় (GMT): রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪:০০ AM হতে দুপুর ১:০০ PM)
- বৈশিষ্ট্য: এটি দিনের সবচেয়ে শান্ত সেশন। যেহেতু বেশিরভাগ এশিয়ান এবং ইউরোপীয় মার্কেট এই সময় বন্ধ থাকে, তাই লিকুইডিটি কম থাকে।
- উপযোগী কৌশল:
- রেঞ্জ ট্রেডিং (Range Trading): যেহেতু ভলাটিলিটি কম, তাই রেঞ্জ ট্রেডিং কৌশল এখানে ভালো কাজ করে। এই সেশনে আপনি নির্দিষ্ট সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলের মধ্যে ট্রেড করতে পারেন।
- নতুনদের জন্য: ঝুঁকি কম থাকার কারণে নতুন ট্রেডাররা এই সেশনে অনুশীলন করতে পারেন।
২. টোকিও সেশন (Tokyo Session):
সিডনি সেশনের সাথে সাথে শুরু হয় টোকিও সেশন। এটি এশিয়ান সেশন নামেও পরিচিত। জাপানের অর্থনৈতিক ডেটা এই সেশনকে প্রভাবিত করে, তাই টোকিও সেশনে JPY-সংযুক্ত কারেন্সি পেয়ার, যেমন USD/JPY, EUR/JPY, পেয়ারগুলিতে ট্রেডিংয়ের সুযোগ বেশি থাকে।
- সময় (GMT): রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬:০০ AM হতে বিকাল ৩:০০ PM)
- বৈশিষ্ট্য: এই সেশনে এশিয়ান কারেন্সি যেমন JPY (জাপানিজ ইয়েন), AUD (অস্ট্রেলিয়ান ডলার), এবং NZD (নিউজিল্যান্ড ডলার) সক্রিয় থাকে। এই সেশনে কিছু উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ডেটা (যেমন জাপানের GDP) প্রকাশিত হতে পারে, যা মার্কেটে কিছুটা মুভমেন্ট তৈরি করে।
উপযোগী কৌশল:
এশিয়ান ব্রেকআউট (Asian Breakout): সিডনি সেশনে তৈরি হওয়া রেঞ্জ থেকে যখন প্রাইস ব্রেকআউট করে, তখন এই কৌশল ব্যবহার করা হয়। ট্রেডাররা সাধারণত টোকিও সেশন শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টার হাই এবং লো লেভেল চিহ্নিত করে এবং প্রাইস সেই রেঞ্জ থেকে বের হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে।
৩. লন্ডন সেশন (London Session):
এটি ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত সেশন। ইউরোপের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলো এই সময়ে সক্রিয় থাকে। লন্ডনের সেশনটি সাধারণত সিডনি এবং টোকিও সেশনের সাথে ওভারল্যাপ করে, যা ট্রেডিংয়ে উচ্চ ভলিউম এবং তারল্য (Liquidity) নিয়ে আসে। EUR/USD, GBP/USD, USD/CHF-এর মতো প্রধান কারেন্সি পেয়ারগুলোতে ট্রেডিংয়ের জন্য এটি সেরা সময়।
- সময় (GMT): সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪ টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:০০ AM হতে রাত ১০:০০ PM)
- বৈশিষ্ট্য: লন্ডন পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হওয়ায় এই সেশনে ভলাটিলিটি এবং লিকুইডিটি অনেক বেশি থাকে। এটি টোকিও সেশনের শেষ ভাগের সাথে এবং নিউ ইয়র্ক সেশনের শুরুর দিকের সাথে ওভারল্যাপ করে, যা মার্কেটে আরও বেশি মুভমেন্ট নিয়ে আসে।
- উপযোগী কৌশল:
- ব্রেকআউট কৌশল (Breakout Strategy): উচ্চ ভলাটিলিটির কারণে ব্রেকআউট ট্রেডিং এখানে খুবই কার্যকর। আগের সেশনের হাই এবং লো লেভেল ভেঙে প্রাইস নতুন দিকে মুভ করে।
- ট্রেন্ড ফলোয়িং (Trend Following): এই সেশনে শক্তিশালী ট্রেন্ড তৈরি হতে পারে, তাই ট্রেন্ড অনুসরণ করে ট্রেড করা লাভজনক হতে পারে।
- সংবাদভিত্তিক ট্রেডিং (News-Based Trading): যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খবর যেমন GDP, CPI, এবং সুদের হার ঘোষণার সময় মার্কেটে বড় মুভমেন্ট হয়। ট্রেডাররা এসব খবরের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করতে পারেন।
৪. নিউ ইয়র্ক সেশন (New York Session):
এটি দিনের শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেশনগুলোর মধ্যে একটি। এই সেশনটি লন্ডন সেশনের সাথে ওভারল্যাপ করে, যার ফলে বাজারের মুভমেন্ট শীর্ষে পৌঁছায়। এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ডেটা রিলিজ হয়, যা ডলার-সংযুক্ত কারেন্সি পেয়ারগুলোতে বড় প্রভাব ফেলে। EUR/USD, GBP/USD এবং USD/CAD-এর মতো পেয়ারগুলোতে ট্রেড করা এই সময়ে খুবই লাভজনক হতে পারে।
- সময় (GMT): দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৯টা (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:০০ AM হতে রাত ৩:০০ টা )
- বৈশিষ্ট্য: এই সেশনেও ভলাটিলিটি অনেক বেশি থাকে, বিশেষ করে প্রথম কয়েক ঘণ্টায় যখন এটি লন্ডন সেশনের সাথে ওভারল্যাপ করে। US ডলার বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সি হওয়ায় এর মুভমেন্ট বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলে।
- উপযোগী কৌশল:
- ওভারল্যাপ কৌশল: লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক সেশনের ওভারল্যাপ (দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা) হলো দিনের সবচেয়ে লিকুইড এবং ভলাটাইল সময়। এই সময় বড় মুভমেন্ট এবং শক্তিশালী ট্রেন্ড দেখা যায়।
- সংবাদভিত্তিক ট্রেডিং (News-Based Trading): এই সেশনে প্রকাশিত US এর অর্থনৈতিক ডেটা, যেমন নন-ফার্ম পেরোল (Non-Farm Payroll) বা FOMC-এর মিটিং মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। নিউজ ট্রেডারদের জন্য নিউইয়র্ক সেশন উপযুক্ত, কারণ এখানেই মার্কিন অর্থনৈতিক ডেটা প্রকাশ হয়।

সেশন ওভারল্যাপের সময়সূচী:
যখন দুইটি সেশন একই সময়ে ওপেন থাকে , তখন তাকে সেশন ওভারল্যাপ বলা হয়। দিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ওভারল্যাপ সেশন নিচে দেওয়া হলো :-
(১) সিডনি এবং টোকিও সেশন:
বাংলাদেশ সময় সকাল ৬:০০ থেকে সকাল ৮:০০ পর্যন্ত।
(২)টোকিও এবং লন্ডন সেশন:
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত, যা এশিয়ান এবং ইউরোপীয় সেশনগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ওভারল্যাপ।
(৩)লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক সেশন:
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত, যা ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকান সেশনগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ওভারল্যাপ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
সময় ওভারল্যাপ: ট্রেডিং সেশনগুলোর সময় যখন একে অপরের সাথে ওভারল্যাপ করে, তখন ভলিউম এবং লিকুইডিটি সবচেয়ে বেশি থাকে। যেমন:
- লন্ডন ও টোকিও ওভারল্যাপ: এটি ইউরোপ এবং এশিয়ার আর্থিক কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রমের কারণে ঘটে।
- লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক ওভারল্যাপ: এটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ এই সময় EUR/USD এবং GBP/USD এর মতো প্রধান কারেন্সি পেয়ারগুলোতে ব্যাপক মুভমেন্ট দেখা যায়।
- কারেন্সি পেয়ার নির্বাচন: প্রতিটি সেশনে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কারেন্সি পেয়ারগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। যেমন, টোকিও সেশনে USD/JPY, লন্ডন সেশনে EUR/USD, এবং নিউ ইয়র্ক সেশনে EUR/USD ও GBP/USD-এর মতো মেজর পেয়ারগুলো বেশি ট্রেড হয়। কাজেই সেশন অনুযায়ী কারেন্সি পেয়ার নির্বাচন করে ট্রেড করুন ।
কোন সময়ে ট্রেড করবেন ?
প্রতিটি সেশনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার ট্রেডিংয়ের ধরন এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে সঠিক সেশন বেছে নেওয়া উচিত।
- ওভারল্যাপের সময়: যখন দুটি প্রধান সেশন ওভারল্যাপ করে, তখন বাজারে সর্বোচ্চ ভলিউম এবং তারল্য দেখা যায়। এটি ট্রেডিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। বিশেষ করে, লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক সেশনের ওভারল্যাপ (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা) ট্রেডারদের জন্য অনেক বড় সুযোগ নিয়ে আসে। এই সময়ে EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারগুলোতে বড় মুভমেন্ট হয়।
- ভলিউম এবং অস্থিরতা (Volatility): যদি আপনি দ্রুত লাভ করতে চান, তাহলে বেশি ভলিউম এবং অস্থিরতা আছে এমন সেশনে ট্রেড করুন। লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক সেশন এই ধরনের ট্রেডিংয়ের জন্য আদর্শ। তবে, অস্থিরতা বেশি হলে ঝুঁকিও বেশি থাকে।
- ধীর গতিতে ট্রেডিং: যদি আপনি ঝুঁকি এড়াতে চান এবং ধীরে-সুস্থে ট্রেড করতে পছন্দ করেন, তাহলে এশিয়ান সেশন (সিডনি এবং টোকিও) আপনার জন্য ভালো হতে পারে। এই সময়ে বাজার সাধারণত শান্ত থাকে
উপসংহার
সফল ফরেক্স ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ট্রেডিং সেশনগুলো সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। প্রতিটি সেশনের মুভমেন্ট এবং বৈশিষ্ট্য বুঝে ট্রেড করলে আপনার সফলতার হার অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এরপর আপনার ট্রেডিং স্টাইল (যেমন স্ক্যাল্পিং, ডে ট্রেডিং, ইত্যাদি) অনুযায়ী উপযুক্ত সেশন বেছে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক কারেন্সি পেয়ার বেছে নেওয়া সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজিকে ট্রেডিং সেশনের সাথে সমন্বয় করে ট্রেড করলে আপনি ফরেক্সের এই বিশাল বাজারে ভালো করতে পারবেন।