ফরেক্স ইন্ডিকেটর

Spread the love

ফরেক্স ইন্ডিকেটর নিয়ে বাংলায় বিস্তারিত আলোচনা :

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নিজেকে একজন সফল ট্রেডার হিসাবে গড়ে তোলার জন্য  ফরেক্স মার্কেটের গতিবিধি বোঝা অত্যন্ত জরুরী । আর  এই গতিবিধি বিশ্লেষণ করতে হলে ট্রেডারদের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী টুলস হলো ফরেক্স ইন্ডিকেটর।  ইন্ডিকেটরগুলো  এক ধরনের গাণিতিক টুলস যা পূর্ববর্তী মূল্যের তথ্য (Historical Price Data) (যেমন মূল্য, ভলিউম, সময় ইত্যাদি ) ব্যবহার করে ভবিষ্যত মূল্যের গতিবিধি সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা দেয় এবং ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি করে।

ফরেক্স ইন্ডিকেটর কী এবং কেন প্রয়োজন?

সহজ ভাষায়, ফরেক্স ইন্ডিকেটর হলো চার্টের উপর প্রদর্শিত  গ্রাফ যা বিভিন্ন গাণিতিক হিসেবের মাধ্যমে তৈরি হয়। এগুলো দেখে ট্রেডাররা  সহজেই বুঝতে পারে বাজারের ট্রেন্ড কোন দিকে যাচ্ছে, বাজার কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল এবং কখন মার্কেটে  এন্ট্রি বা এক্সিট নিতে হবে ইত্যাদি।

কেন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয় ?

  • বাজার বিশ্লেষণ: ইন্ডিকেটরগুলো পূর্ববর্তী মূল্যের ডেটা থেকে প্যাটার্ন এবং প্রবণতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে যা ইন্ডিকেটর ব্যাতীত দেখা কঠিন হতে পারে।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ: কখন ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডে এন্ট্রি বা এক্সিট নিতে হবে সে সম্পর্কে সিগন্যাল প্রদান করে ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহন সহজ হয় ।
  • ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: কিছু ইন্ডিকেটর মার্কেটে ওভারবট (বেশি কেনা) বা ওভারসোল্ড (বেশি বেচা) পরিস্থিতি নির্দেশ করে, যা অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়া থেকে বিরত রাখে।
  • নিশ্চয়তা বৃদ্ধি: ইন্ডিকেটরগুলো ট্রেডারদের ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহনে আত্মবিশ্বাস যোগায়।

ফরেক্স ইন্ডিকেটরের প্রকারভেদ

ফরেক্স ইন্ডিকেটরকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. লিডিং ইন্ডিকেটর (Leading Indicators): এই ইন্ডিকেটরগুলো ভবিষ্যতের মূল্যের গতিবিধি সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করে। এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে বের করার জন্য এগুলো বেশ কার্যকর।
  2. ল্যাগিং ইন্ডিকেটর (Lagging Indicators): ল্যাগিং ইন্ডিকেটর হলো এক ধরণের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টুল যা মার্কেটের গতিবিধি বা প্রবণতা শুরু হওয়ার পর মার্কেটের ট্রেন্ড নিশ্চিত করে। এই ইন্ডিকেটরগুলোকে “ল্যাগিং” বলা হয় কারণ তারা বাজারের বর্তমান মূল্যকে অনুসরণ করে, অর্থাৎ তারা ভবিষ্যতের গতিবিধি পূর্বাভাস দেয় না, বরং যা ইতিমধ্যে ঘটেছে তা নিশ্চিত করে। এ কারণে, ল্যাগিং ইন্ডিকেটরগুলো ট্রেন্ড-ফলোয়িং (trend-following) বা ট্রেন্ড-কনফার্মিং (trend-confirming) ইন্ডিকেটর নামেও পরিচিত। এগুলো সাধারণত ট্রেন্ড ফলোয়িং ট্রেডারদের জন্য বেশি উপযোগী।

এছাড়াও, ইন্ডিকেটরগুলোকে তাদের কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে আরও কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । যেমন –

  • ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর (Trend Indicators): এই ধরনের ইন্ডিকেটর ফরেক্স মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী বা  নিম্নমুখী  প্রবণতা  বা রেঞ্জিং  সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর (Momentum Indicators): এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ  একটি ইন্ডিকেটর যা বাজারের গতির শক্তি পরিমাপ করে।
  • ভল্যাটিলিটি ইন্ডিকেটর (Volatility Indicators): ফরেক্স মার্কেট প্রায় সময়ই অস্থিরতা প্রদর্শন করে বিশেষ করে যখন কোন নিউজ রিলিজ হয় । বাজারের অস্থিরতার পরিমান  বা কত দ্রুত মূল্য পরিবর্তন হচ্ছে তা পরিমাপ করে ভল্যাটিলিটি ইন্ডিকেটর
  • ভলিউম ইন্ডিকেটর (Volume Indicators): এটি সাধারনত মার্কেটের ট্রেডিং ভলিউম বিশ্লেষণ করে মার্কেটের শক্তি পরিমাপ করে।

বহুল ব্যবহৃত কিছু ফরেক্স ইন্ডিকেটর:

চলুন আজ আমরা কিছু জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ফরেক্স ইন্ডিকেটর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই:

১. মুভিং এভারেজ (Moving Average – MA) 

  • প্রকার: মুভিং এভারেজ আসলে  ট্রেন্ডিং ইন্ডিকেটর বা ল্যাগিং ইন্ডিকেটর।
  • কাজ: মুভিং এভারেজ হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন একটি pair এর গড় মূল্য। এটি চার্টের উপর একটি মসৃণ  গ্রাফ বা লাইন তৈরি করে যা মূল্যের ওঠানামাকে ফিল্টার করে মার্কেটের প্রবণতা বা trend  চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
  • ব্যবহার:

       ডাবল মুভিং এভারেজ ক্রসওভার: দুটি ভিন্ন সময়ের মুভিং এভারেজ ব্যবহার করে আরও

       অনেক বেশি  কার্যকর সিগন্যাল পাওয়া যায়। যেমন:

  • গোল্ডেন ক্রস (Golden Cross): যখন একটি স্বল্পমেয়াদী মুভিং এভারেজ (৫০ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ  বা 50-day SMA) একটি দীর্ঘমেয়াদী মুভিং এভারেজকে (২০০ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ  বা 200-day SMA ) নিচে থেকে উপরে দিকে ক্রস করে, তখন তা মার্কেটে শক্তিশালী ক্রয়ের (Buy) সংকেত (Bullish Signal) হিসেবে ধরা হয়।
  • ডেড ক্রস (Dead Cross): যখন একটি স্বল্পমেয়াদী মুভিং এভারেজ একটি দীর্ঘমেয়াদী মুভিং এভারেজকে উপর থেকে নিচে ক্রস করে, তখন তা মার্কেটে  শক্তিশালী বিক্রয়ের(Sell) সংকেত (Bearish Signal) হিসেবে ধরা হয়।

কোন একটি পেয়ারের মূল্য যখন মুভিং এভারেজের উপরে থাকে, তখন তা বুলিশ প্রবণতা এবং নিচে থাকলে তা বেয়ারিশ প্রবণতা নির্দেশ করে।

  • ছবিতে উপস্থিতি: মূল্যের চার্টের উপর দুটি বক্ররেখা ৫০ SMA (নীল ) এবং ২০০ SMA (লাল) হিসেবে প্রদর্শিত হয়।

২. রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (Relative Strength Index – RSI)

  • প্রকার: এক ধরনের লিডিং মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর ।
  • কাজ: RSI একটি অসিলেটর যা ০ থেকে ১০০ এর মধ্যে ওঠানামা করে। RSI একটি নির্দিষ্ট সময়ের (সাধারণত ১৪ দিন/পিরিয়ড) মধ্যে একটি সম্পদের গড় মূল্য বৃদ্ধি এবং গড় মূল্য হ্রাসের তুলনা করে। । এটি মার্কেটের  ওভারবট (overbought) এবং ওভারসোল্ড (oversold) পরিস্থিতি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • ব্যবহার:
    • ওভারবট: যখন কোন একটি pair -এর  RSI ৭০ এর উপরে থাকে, তখন সাধারণত সেই pair-টি ওভারবট অবস্থায় আছে বলে ধরা হয়, যা মূল্যের সম্ভাব্য পতনের ইঙ্গিত দেয়।
    • ওভারসোল্ড: যখন কোন একটি pair -এর   RSI ৩০ এর নিচে থাকে, তখন সাধারণত সেই pair-টি ওভারসোল্ড অবস্থায় আছে বলে ধরা হয়, যা মূল্যের সম্ভাব্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
    • ডাইভারজেন্স: যখন যখন কোন একটি pair -এর মূল্যের গতিপথ এবং RSI এর গতিপথ ভিন্ন হয়, তখন তা ডাইভারজেন্স বোঝায়, যা মার্কেটের  ট্রেন্ড সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় ।

ছবিতে উপস্থিতি: মূল চার্টের নিচে একটি আলাদা উইন্ডোতে ০ থেকে ১০০ স্কেলে একটি রেখা হিসেবে প্রদর্শিত হয়।

৩. মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স ডাইভারজেন্স (Moving Average Convergence Divergence – MACD)

  • প্রকার: মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর (ল্যাগিং/লিডিং উভয়)
  • কাজ: MACD দুটি মুভিং এভারেজের মধ্যে সম্পর্ক দেখায় এবং একটি হিস্টোগ্রাম (histogram) এর মাধ্যমে বাজারের মোমেন্টাম পরিমাপ করে। এটি মার্কেটের ট্রেন্ডের শক্তি এবং মার্কেটের সম্ভাব্য রিভার্সাল পয়েন্ট সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • ব্যবহার:
    • ক্রসওভার: “ক্রসওভার” বলতে একটি আর্থিক সম্পদের (যেমন শেয়ার, ফরেক্স কারেন্সি, ক্রিপ্টোকারেন্সি) মূল্য এবং একটি প্রযুক্তিগত ইন্ডিকেটরের মধ্যে ছেদ বা দুটি ভিন্ন ইন্ডিকেটরের মধ্যে ছেদকে বোঝায়। MACD লাইন যখন সিগন্যাল লাইনকে উপরের দিকে ক্রস করে, তখন মার্কেটে বাই সিগন্যাল এবং MACD লাইন যখন সিগন্যাল লাইনকে নিচের দিকে ক্রস করে তখন মার্কেটে সেল সিগন্যাল দেয়।
    • হিস্টোগ্রাম: হিস্টোগ্রামের আকার এবং দিক মোমেন্টামের শক্তি এবং মার্কেটের প্রবণতার (ট্রেন্ডের)পরিবর্তন নির্দেশ করে।
    • ডাইভারজেন্স: RSI এর মতোই, MACD ডাইভারজেন্স প্রবণতার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

ছবিতে উপস্থিতি: RSI এর মতো এটিও মূল চার্টের নিচে একটি আলাদা উইন্ডোতে দুটি লাইন (MACD লাইন এবং সিগন্যাল লাইন) এবং একটি হিস্টোগ্রাম হিসেবে প্রদর্শিত হয়।

৪. বলিঙ্গার ব্যান্ডস (Bollinger Bands)

  • প্রকার: বলিঙ্গার ব্যান্ডস মূলত ভল্যাটিলিটি ইন্ডিকেটর ।
  • কাজ: বলিঙ্গার ব্যান্ডস তিনটি লাইনের সমন্বয়ে গঠিত: একটি মধ্যম রেখা (সাধারণত ২০-পিরিয়ড সিম্পল মুভিং এভারেজ) এবং দুটি স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশনের উপর ভিত্তি করে তৈরি উপরের ও নিচের ব্যান্ড। এটি বাজারের অস্থিরতা এবং কোন একটি pair -এ সম্ভাব্য entry (trade open) বা exit (trade close ) পয়েন্ট সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • ব্যবহার:
    • সঙ্কোচন প্রসারণ: যখন ব্যান্ডগুলো সংকুচিত হয়, তখন কম অস্থিরতা (low volatility) বোঝায় এবং এটি একটি সম্ভাব্য বড় মূল্য মুভের (move) ইঙ্গিত দেয়। ব্যান্ডগুলো প্রসারিত হলে উচ্চ অস্থিরতা (high volatility) বোঝায়।
    • মূল্য ব্যান্ডের বাইরে: যখন মূল্য উপরের ব্যান্ডের উপরে বা নিচের ব্যান্ডের নিচে যায়, তখন তা ওভারবট বা ওভারসোল্ড পরিস্থিতি নির্দেশ করতে পারে এবং মূল্যের সম্ভাব্য রিভার্সাল বোঝায়।

ছবিতে উপস্থিতি: মূল্যের চার্টের উপর তিনটি সমান্তরাল বা বক্ররেখা হিসেবে প্রদর্শিত হয় যা মূল্যের গতিপথকে ঘিরে রাখে।

৫. ফিবোনাকচি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)

  • কেন সেরা: এটি কোনো শক্তিশালী মূল্য মুভের পর সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ভবিষ্যতের মূল্যের স্তরগুলো অনুমান করার জন্য একটি শক্তিশালী টুল।
  • ব্যবহার: ট্রেডাররা প্রায়শই মূল্যের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ (যেমন 23.6%, 38.2%, 50%, 61.8%, 78.6%) রিট্রেস করে কিনা তা দেখতে এটি ব্যবহার করে, যা সম্ভাব্য এন্ট্রি বা এক্সিট পয়েন্ট নির্দেশ করে।

ইন্ডিকেটর ব্যবহারের টিপস:

  • একাধিক ইন্ডিকেটর ব্যবহার: সবময় শুধুমাত্র একটি ইন্ডিকেটরের উপর  নির্ভর করবেন না । মাঝে মাঝে একাধিক ইন্ডিকেটরের সংমিশ্রণ ব্যবহার করুন। বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিকেটর (যেমন একটি ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর এবং একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর) একসাথে ব্যবহার করলে আরও নির্ভরযোগ্য সিগন্যাল পাওয়া যায়।
  • বাজারের অবস্থার সাথে সামঞ্জস্য: সব ইন্ডিকেটর সব ধরণের বাজারের অবস্থার জন্য উপযুক্ত নয়। যেমন, ট্রেন্ডিং বাজারে ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর ভালো কাজ করে, আর রেঞ্জিং বাজারে অসিলেটরগুলো বেশি কার্যকরী।
  • অন্যান্য বিশ্লেষণের সাথে সমন্বয়: মনে রাখতে হবে যে, ইন্ডিকেটরগুলো টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের একটি অংশ মাত্র। এটি ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন, সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল, এবং ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণের সাথে মিলিয়ে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করলে আরও কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়।
  • প্র্যাকটিস ব্যাকটেস্টিং: রিয়েল ট্রেডিংয়ে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডেমো অ্যাকাউন্টে প্রচুর অনুশীলন করুন এবং আপনার পছন্দের ইন্ডিকেটরের ব্যাকটেস্টিং করুন।
  • অতিরিক্ত ইন্ডিকেটর পরিহার: সবসময় চার্টকে অতিরিক্ত ইন্ডিকেটর দিয়ে অযথা জটিল করে তুলবেন না। এটি আপনর  ট্রেডিংয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

সেরা ইন্ডিকেটর কিভাবে নির্বাচন করবেন?

“সেরা” ইন্ডিকেটর বলে কিছু না থাকলেও, আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ইন্ডিকেটরগুলো খুঁজে বের করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:

আপনার ট্রেডিং স্টাইল:

  1. স্ক্যাল্পার/ইন্ট্রাডে ট্রেডার: দ্রুত সিগন্যাল দেয় এমন ইন্ডিকেটর (যেমন RSI, Stochastic) বেশি কার্যকর হতে পারে।
  2. সুইং ট্রেডার: ট্রেন্ড-ফলোয়িং ইন্ডিকেটর (যেমন MA, MACD) এবং রিট্রেসমেন্ট লেভেল (যেমন ফিবোনাকচি) বেশি উপযোগী।
  3. পজিশন ট্রেডার: দীর্ঘমেয়াদী MA, এবং ফান্ডামেন্টাল ইন্ডিকেটরগুলি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার:

ফরেক্স ইন্ডিকেটরগুলো ট্রেডারদের জন্য অমূল্য হাতিয়ার। এগুলো বাজারের ডেটা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে এবং ট্রেডিংয়ে সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, ইন্ডিকেটরগুলো কোনো ম্যাজিক বুলেট নয়। এগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য জ্ঞান, অনুশীলন এবং অন্যান্য বিশ্লেষণের সাথে সমন্বয় অপরিহার্য। একজন সফল ট্রেডার হওয়ার জন্য ইন্ডিকেটরগুলোকে একটি সহায়ক টুল হিসেবে দেখা উচিত, যা সুচিন্তিত ট্রেডিং কৌশল এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাথে মিলিত হয়ে কাজ করে।

Scroll to Top